কুমি-ল্লা আদর্শ সদর উপজেলা আয়তন: ১৮৭.৭১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°২৪´ থেকে ২৩°৩১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°০৩´ থেকে ৯১°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বুড়িচং উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে কুমি-ল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চান্দিনা ও বরুড়া উপজেলা।
জনসংখ্যা ৫১৭৮৬০; পুরুষ ২৭২৪৩৭, মহিলা ২৪৫৪২৩। মুসলিম ৪৮৩২৭৭, হিন্দু ৩৩৪২৬, বৌদ্ধ ১৯৮, খ্রিস্টান ৪২৯ এবং অন্যান্য ৫০৩।
জলাশয় প্রধান নদী: গোমতী।
প্রশাসন ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমি-ল্লা সদর উপজেলাকে ২০০৫ সালে পুর্নগঠিত করে কুমি-ল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নামে নতুন নামকরণ করা হয়।

তথ্যঃ

কুমি-ল্লা জেলা – আদর্শ সদর উপজেলা আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ ময়নামতি জাদুঘর, ধর্মসাগর দিঘি, আনন্দ বিহার, জগন্নাথ মন্দির, রানীর কুঠি, টাউন হল, শাহসুজা মসজিদ, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও রাজরাজেশ্বরী কালীবাড়ি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১ (কুমি-ল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২২০, মন্দির ৩৫, গির্জা ৩।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৬.০৫%; পুরুষ ৬৮.৫৪%, মহিলা ৬৩.০২%। মেডিকেল কলেজ ১, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, কলেজ ১১, কারিগরি কলেজ ৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০১, মাদ্রাসা ১৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুমি-ল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (১৮৯৯), কুমি-ল্লা সরকারি কলেজ, কুমি-ল্লা সরকারি মহিলা কলেজ, কুমি-ল্লা ঈশ্বর পাঠশালা (১৯১৪), রামমালা ছাত্রাবাস (১৯১৬), নিবেদিতা প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৯)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক পত্রিকা ৩; সাপ্তাহিক পত্রিকা ৭।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৫, ক্লাব ৪, জাদুঘর ১, সিনেমা হল ৪, খেলার মাঠ ৫১, স্টেডিয়াম ১, মিলনায়তন ১, রেজিস্টার্ড সাংস্কৃতিক সংগঠন ৬৭।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট, ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)।
দর্শনীয় স্থান শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, শচীন দেববর্মনের বসতবাড়ি, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়ি।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ১৮.৬৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৬%, শিল্প ২.০৫%, ব্যবসা ২৩.৫৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৯.৭৩%, চাকরি ২২.১৭%, নির্মাণ ৩.১৪%, ধর্মীয় সেবা ০.২০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৩.২১% এবং অন্যান্য ১৪.৭০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৬.৬৯%, ভূমিহীন ৫৩.৩১%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট, সূর্যমুখী, বাদাম, কাউন, তিসি, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, কলা, কাঁঠাল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৭১, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ১, পশুসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র ১, নার্সারি ২১।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩০৬.৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৫৩.৫০ কিমি; নদীপথ ১২ নটিক্যাল মাইল; রেলপথ ১১ কিমি; রেলস্টেশন ১।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা কাপড়ের কল, পাট কল, করাত কল, জুতা তৈরির কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, সেলাই, নকশি কাঁথা, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা ১৫। চক বাজার, নিউমার্কেট, কুমিল্লা টাউন হল মেলা ও কালীবাড়ি মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য মিষ্টি, রসমালাই, ময়দা, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৮৫.৬৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮২.৪৫%, পুকুর ০.৫২%, ট্যাপ ১৪.৪২% এবং অন্যান্য ২.৬১%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৭.১৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৭.৮৬% পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.৯৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩, হাসপাতাল ৪৪, ক্লিনিক ১৪, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, ভিশন ২০০০।

আরও দেখুনঃ

মেঘনা উপজেলা | কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ
মুরাদনগর উপজেলা | কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ
মনোহরগঞ্জ উপজেলা | কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ
লাকসাম উপজেলা | কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ
নাঙ্গলকোট উপজেলা | কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম বিভাগ | বাংলাদেশ
–
