রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পর স্থগিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের

রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পর স্থগিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের,আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যা মামলায় গ্রেফতার মাসুদ রানার (৩২) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে একদিন পর স্থগিত করেছেন আদালত।

 

রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পর স্থগিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের

 

রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পর স্থগিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের

মঙ্গলবার  কুমিল্লার ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দিলেও বুধবার  বিকেলে আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি রিমান্ড আবেদন স্থগিত করেন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন। তার দাবি বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম যে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একদিন পর তিনিই রিমান্ড আবেদন স্থগিত করেছেন।

বুধবার ১০ মে রাতে মাসুদ রানা মালদ্বীপ পালিয়ে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা-মামলায় মাসুদ রানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৪ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন আদালতের রিমান্ড স্থগিতের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে এটিই প্রথম যে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে একই আদালত অজ্ঞাত কারণে স্থগিত করেছেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত কোনো আইনেই এ রকম আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। মাসুদকে রিমান্ডে নিলে চাঞ্চল্যকর এই হত্যার মূলহোতারা বেরিয়ে আসতো বলে তিনি মনে করেন। স্থগিতাদেশের কারণে জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিচারও বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন আরও বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীর একটা দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের কোনো প্রকার অবগত না করে তিনি এই আদেশ দেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছে।

৩০ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদ গলিতেই তাকে একাধিক গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় তার স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পর স্থগিত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের

 

মামলার আসামিরা হলেন- তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের সুজন, আরিফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মনাইরকান্দি গ্রামের শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার, জিয়ারকান্দি গ্রামের বাদল, শাকিল, দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের শাহ আলম, তিতাসের জিয়ারকান্দি গ্রামের অলি হাসান ও কালা মনির।

আরও পড়ুন:

Leave a Comment