কুমিল্লায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

সংঘর্ষে আহত ৫ – কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে বুড়িচং বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

কুমিল্লায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের দুটি পক্ষ আছে। উপজেলাটিতে ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কমিটি আছে। এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের অনুসারী। অন্য পক্ষের সমর্থকেরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকেলে এই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

 

 

বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মোকাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে আটক করতে যায় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে জাকিরের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৯ সেপ্টেম্বর বুড়িচং থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন মিজানুর রহমান পক্ষের সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ। মামলায় কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জাহেরকে প্রধান আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে তানভীর ও সাইফুল নামের দুজনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।

কিন্তু মামলা হওয়ার পর নিজেদের ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন তানভীর ও সাইফুল। এরপর মামলা থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে বাদী ও মিজানুর পক্ষের মাহফুজকে হুমকি দেন জসিম পক্ষের ছাত্রদল নেতারা। কথা না শোনায় বাদী মাহফুজের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মাহফুজের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন মিজানুরের কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় জসিম পক্ষের নেতা-কর্মীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মিজানুর পক্ষ ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মিজানুর পক্ষ ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মাহফুজের ওপর হামলার নিন্দা জানাতে প্রতিবাদ করছিলাম। এ সময় অপর পক্ষের উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইকবালের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

 

 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিনের অনুসারী ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক স্বপন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের অন্য কোনো গ্রুপ নেই। মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

এ ঘটনায় গতকাল রাত পর্যন্ত থানায় কোনো থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment